ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ১৪ সেপ্টেম্বর

যুগান্তর : অবশেষে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। ওই দিন কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সংগঠনটির আগামী দিনের নেতৃত্ব বাছাই করা হবে।

শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে নেতৃত্ব বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা সার্চ কমিটি বৈঠক করে এ তারিখ চূড়ান্ত করে।

সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বৈঠক হয়।

সার্চ কমিটিতে থাকা বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী যুগান্তরকে বলেন, সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কাউন্সিল হবে। যথাসময়ে তারিখটি জানিয়ে দেয়া হবে। আমরা সবাই এক্যবদ্ধভাবে ছাত্রদলের কাউন্সিল করব, যাতে সুন্দর ও সফল হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার্চ কমিটিতে থাকা বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারেক রহমান। তবে ঈদের পরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তারিখ ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি ভোট হবে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের অবশ্যই ২০০০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী হতে হবে। বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে ঢাকা মহানগরের চারটি ইউনিটেরও শীর্ষ দুই পদে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) সরাসরি ভোট করার চিন্তা রয়েছে। সেটা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, দীর্ঘ ২ ঘণ্টার বৈঠকে সার্চ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্রদলের আগামী কাউন্সিলের তারিখ চূড়ান্ত করেন তারেক রহমান।

এছাড়াও শিগগিরই ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে বহিষ্কার ১২ ছাত্র নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। তাদের ছাত্রদলের কাউন্সিলের বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারেক রহমান।

এর আগে গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল।

বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। বয়সের এমন বাধ্যবাধকতার কারণে সে সময় ছাত্রদলের সদ্য সাবেক নেতারা চরম ক্ষুব্ধ হন; যা নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে, ছাত্রদলে দেখা দেয় সংকট। যার কারণে ওই নির্ধারিত তারিখে কাউন্সিল হয়নি সংগঠনটির।

পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি সমাধানের জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে দায়িত্ব দেন। তারাই মূলত ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানে কাজ করেন।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আগে প্রার্থীদের আচরণবিধি ও যে যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে তাই ঠিক থাকবে; যা ঈদের পর ফের ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। আগস্টের শেষদিকে ছাত্রদলের কাউন্সিলের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেয়া হবে। যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে ২০০০ সালের এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে।

তবে রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই ১৯৯৮ সালের হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রমাণের জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশনের কপি জমা দিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব আছে এমন প্রমাণপত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে এবং পাসের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।

ছাত্রদলের কাউন্সিল উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি প্রধান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন যুগান্তরকে বলেন, কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর যত দ্রুত সম্ভব আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করা হবে। এছাড়া আমাদের কিছু কাজ শেষ করা আছে।

পাঠকের মতামত: